বান্দরবান প্রতিনিধি

এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর সহায়তা মাটি অপসারণের কাজ করছি। দ্রুত মাটি সরিয়ে থানচির সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। 

আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত দুটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


এদিকে গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই শতাধিক পরিবার। এতে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা বর্ষণের কারণে ইউনিয়নের অনেক স্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার চালানো হয়েছে। বান্দরবানে আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।