বেনাপোল বন্দরে ২ দিনে ৬৭৭ টন কাঁচামরিচ আমদানি। ছবি : বাংলার পাতা
বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি টনের আমদানি মূল্য ৬০ হাজার টাকা। আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ৬০ টাকা এবং শুল্ক ৩৬ টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজি কেজি ১২০ টাকার বেশি পড়ার কথা নয়। তবে আমদানিকারকেরা বলেছেন, ‘ভারতেও দাম বৃদ্ধির কারণে দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নিচু জমি ডুবে যাওয়ায় কাঁচামরিচের সংকট দেখা দেয়। আর এ সময় কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এতে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়ে। কাঁচামরিচের লাগামহীন এ বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করে সরকার। তবে গেল বছরে সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে কেজি ১০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাঁড়ায়।
মফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমদানি মূল্যের অনেক বেশি দামে তাদের মরিচ কিনতে হচ্ছে। আমদানি করা কাঁচামরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।’
কাঁচামরিচ আমদানিকারকের প্রতিনিধি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘বন্দর থেকে খালাসের পরপরই দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত মরিচ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আমদানি করা এ মরিচ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আমদানি এভাবে বাড়তে থাকলে বাজারে দাম কমবে।’
0 Comments