প্রকাশ, ২৪ অক্টোবর ২০২৪:
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ কারণেই দীর্ঘ ১৭ বছর পার হওয়ার পর অবশেষে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা। তিনি আরও বলেন, আদালত অভিযোগের ন্যূনতম ভিত্তি খুঁজে না পাওয়ায় খালেদা জিয়া, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীক মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন। সুষ্ঠু তদন্ত হলে মামলা থেকে সবাই অব্যাহতি পাবেন।’
আদালত এ মামলার অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, ইসমাইল হোসেন সায়মন, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভীর আহমেদ, সৈয়দ গালিব আহমেদ, এ কে এম মুসা কাজল ও এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন এবং বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
এর আগে বেশ কয়েকটি ধার্য তারিখে এই মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ জুলাই থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১৭ জুলাই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে শুনানি শেষ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো কেলেঙ্কারির এই মামলা করেন। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেন।
মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ৯ জন মৃত্যুবরণ করায় তাঁদের আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
0 Comments