নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি গুম কমিশনে উপস্থিত হয়েছিলাম, যাতে করে আমার গুমের বিষয়টা অফিশিয়ালভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারি। আমার গুমের বিষয়ে আদ্যোপান্ত সবই জানেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে আমাকে উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নেওয়ার পর ৬১ দিন গুম ছিলাম। এরপর আমাকে অন্য একটি দেশে পাচার করে। এ বিষয়ে গুম কমিশনে বিস্তারিত বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘গুম কমিশন এ বিষয়গুলো তদন্ত করে তুলে ধরবে। এ বিষয়ে তাঁদের কতটুকু এখতিয়ার আছে, আমার জানা নেই। আমি তাঁদের জানিয়েছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যারা পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে আছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কীভাবে আনবে সেটি আইনে আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত জিয়াউল আহসান জেলখানায় খুব আরামে আছেন। তাঁকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তাঁর কাছ থেকে একটি শব্দ বের হয় না। তাহলে কী দেশে গুম-খুন হয়নি? সবচেয়ে বেশি গুম-খুনের অভিযোগতো জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আছে। বেনজীর আহমেদসহ আরও যারা গুম-খুনের হোতা ও নায়ক রয়েছে; তাঁরা সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, তাঁর সচিব তারেক সিদ্দিকীসহ যাদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল, সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে।’
0 Comments