নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিকেলে হেলালকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই নাজমুল হাচান তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর খুলশী থানার তুলাতলী এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসে পল্টন থানায় দায়ের করা এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির এক দফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশের নেতা-কর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন, তখন সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের পুলিশ বাহিনী বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন।

২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর এজাহারনামীয় ২৫৬ জন ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জন আসামি বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।

এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এ সময় মকবুল নামে এক বিএনপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মো. মাহফুজার রহমান নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, হেলালুদ্দীন মামলায় বর্ণিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।