বগুড়া প্রতিনিধি,
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪:

দিন দিন যেন উত্তপ্ত হচ্ছে সবজির বাজার।  কোনভাবেই এর লাগাম টানা যাচ্ছেনা।  সবকিছুই যেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।  গত কয়েকদিন আগে লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারসহ শহরের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মান ভেদে ৫৫ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, বাধাকপি ৪০ থেকে ৫০টা প্রতি পিস, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিংগা ৭০ থেকে ৮০, পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০, আদা ২৮০, রসনু ২৪০, পটল ৬০, চিচিংগা ৬০ এবং শশা ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কচুর বই ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে আগের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা যায়। বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪ থেকে ৫৮, রঞ্জিত ৫৬ থেকে ৫৮, কাটারিভোগ ৬৮-৭০, মিনিকেট ৭০ এবং নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। 

বগুড়ার সবচেয়ে বড় মোকাম মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতি মণ মূলা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, করলা ৩ হাজার ২০০ টাকা, বেগুন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও পটল ২ হাজার ২০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে।  
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করলেও দাম বেশি। দুই-চার দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে। গত কয়েকদিন আগে লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণে দাঁড়ায়। সেই সময় বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মাঠ থেকে সবজি সংগ্রহ করতে না পারায় বাজারে সরবরাহ কমে গিয়েছিল।

বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকার কৃষক মজিবর রহমান জানান, গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে কাঁদা পানি জমে যাওয়ায় সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। 
বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে সবজি কিনতে আসা দুলাল মিয়া জানান, ছেলে বেগুন ভাজি খাবে। বাজারে বেগুন কিনতে এসে দেখি দ্বিগুণ দাম। ছেলের আবদার পূরণ করতে ২৫০ গ্রাম বেগুন কিনেছি ২৫ টাকায়। তবে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে মিষ্টি লাউয়ের। আগে প্রতি কেজি মিষ্টি লাউ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও বাড়তি। বাজার স্বাভাবিক না হলে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিপাকে পড়তে হবে।