নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া জাপা বেশির ভাগ সময়েই ছিল ক্ষমতার সঙ্গে বা কাছাকাছি। দ্বাদশ নির্বাচনে ভরাডুবির পর জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বের চোখে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় দলটি এবার বড় বিপাকে পড়েছে। দলটি নিজের অবস্থান জানাতে ইতিমধ্যে রাজপথে কর্মসূচি পালন করলেও অবস্থা বদলাচ্ছে না। জাপা নেতারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে শীর্ষ নেতৃত্ব দল গোছানোর বিকল্প দেখছে না। তাই দলকে ঢেলে সাজাতে প্রতিদিন চলছে আলোচনা-মতবিনিময়।
জাপার নেতারা বলেছেন, দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর দশম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হলেও চলমান পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আপাতত সম্মেলনের চিন্তা নেই। দল গোছানো জোরালো করাই মূল লক্ষ্য। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে সংগঠন গোছানোর একটা বিষয় এসেছে। ১৭ অক্টোবর প্রেসিডিয়াম সভায় পার্টির চেয়ারম্যান (জি এম কাদের) হয়তো সম্মেলন নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের চেয়ে দল সংগঠিত করাই এ মুহূর্তে বেশি জরুরি বলে মনে করছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্মেলনের বিষয়ে পরে চিন্তাভাবনা করা হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ আছে। বর্তমানে দেশব্যাপী দলকে সংগঠিত করতে অঙ্গসংগঠনসহ জেলা, উপজেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ১৭ অক্টোবরের প্রেসিডিয়াম সভায় সংগঠনকে আরও জোরদার করার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় রওশন এরশাদপন্থীরা আছেন কি না—এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘তাঁদের বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
এদিকে ৫ আগস্টের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় রওশনপন্থী জাপা। জাপা বিভক্তির সময় তাঁর সঙ্গে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশীদসহ পাঁচ শতাধিক নেতা যোগ দেন।
তবে রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিন নির্বাহী কমিটির সভা হবে। ওই সভায় সারা দেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার সঙ্গে তাঁরা কোনো আলোচনায় যাবেন না।
0 Comments