নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর বছিলার সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তা ও ২৩ ইস্ট বেঙ্গল উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কোথাও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটলে, সেনাবাহিনীকে তথ্য দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

মেজর নাজিম বলেন, ‘ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিতে ছিনতাইকারী, ডাকাত দলের সদস্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে ৪৫ জন এবং আজ রোববার জেনেভা ক্যাম্প থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ 

দুই সপ্তাহ ধরে মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার বছিলায় একটি সুপারশপে ডাকাতির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ও মামলার প্রধান আসামি মো. আসলাম ওরফে রুবেল ওরফে আলমকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

সেনা কর্মকর্তা জানান, মোহাম্মদপুরে ২৭-২৮টি কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করা হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত ছয়বার অভিযান হয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যত গ্রেপ্তার হয়েছে এর ৩০ শতাংশ জেনেভা ক্যাম্পের। 

ওই এলাকা থেকে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৬১টি গুলি, ১৯ রকমের মাদক, একটি গ্রেনেড ও ৮০টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকা উদ্যানে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে সেনাবাহিনী। মনির মার্কেটের পাশে এই ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এই ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন সবগুলো হাউজিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার আলী জানান, মোহাম্মদপুরে নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে অপরাধ দমনে যৌথ বাহিনী কাজ করছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।