টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক
৬০ গজ খানাখন্দে দিনব্যাপী যানজট
সম্প্রতি কালীগঞ্জের তুমলিয়া মোড় এলাকার চিত্র। ছবি: বাংলার পাতা
গাজীপুর প্রতিনিধি,
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪:
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪:
টঙ্গী ঘোড়াশাল সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটি অপ্রসস্থতা এবং সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। মহাসড়কটির ২-৩ টি স্পটে ৬০ থেকে ৭০ গজ দীর্ঘ খানাকন্দ বিদ্যমান থাকায় তৈরি হচ্ছে দিনব্যাপী যানজটের। এতে করে যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না অসহনীয় এই যানজট।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক এই মহাসড়কটিতে যে পরিমাণ যান চলাচল করে তার তুলনায় এর প্রশস্ততা কম। তার উপর মীরের বাজার, পূবাইল রেল গেইট, দড়িপাড়া রেল গেইট এবং কাপাসিয়া (তুমলিয়া) মোড় এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ গজ দীর্ঘ খানাখন্দ রয়েছে। সংস্কারের অভাবে এই ৪ এলাকায় খানাখন্দের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। যে কারণে অল্পতেই ট্রাক ফেঁসে গিয়ে তৈরি করছে দিনব্যাপী যানজটের।
এদিকে মীরের বাজার এবং কাপাসিয়া মোড় যথাক্রমে চতুর্মুখী এবং ত্রিমুখী সড়কে সকল ধরনের গণপরিবহন এই দুই জায়গায় সময় নিয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রায় উঠানামা করায় বলে ভয়ানক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই যানজট দুই দিক থেকেই প্রায় ১০ কি.মি. এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। সড়কের ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে দেখা গেছে। মহাসড়কটিতে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার পরিমাণ বেশি থাকায় দিন দিন যানজট বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
মাছ ভর্তি ট্রাক চালক মোঃ আতাউর রহমান জানান, তিনি ভোর ৫ টা সময় মিরের বাজারে এসে যানজটে পড়েছেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি ৬ ঘন্টা ধরে একই জায়গায় বসে আছেন। বিকাল ৪টার মধ্যে সিলেট পৌঁছাতে না পারলে রাতে থাকা সকল মাছ পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে।
মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি বাস পাঁচ ঘন্টা ধরে মীরের বাজারে এলাকায় যানজটে বসে আছে। বাসে থাকা ২জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সিলেট গামী যাত্রী আশরাফুল ইসলাম অপু বলেন, আমি আমার অফিসের কাজে সিলেট যাচ্ছি। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে মিরের বাজারে এলাকায় বসে আছি। বসে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আর কতক্ষণ বসে থাকা লাগবে সেটাও বুঝতে পারছি না।
গুরুতর অসুস্থ রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) গামী ১টি এম্বুলেন্স সকাল সাতটা থেকে যানজটে আটকে আছে। ক্রমশ রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করে রোগীর স্বজন বলেন, আমরা নরসিংদী থেকে এসেছি, যাব ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আমার বাবা ভীষণ অসুস্থ। সকাল থেকে এসে মীরের বাজারে বসে আছি। বিকল্প পথে যে যাব সেই ব্যবস্থাও নাই। বেশি দেরি হয়ে গেলে বাবাকে বাঁচিয়ে রাখায় দায় হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
0 Comments