অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪:

সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা সরকার জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আটক হওয়া ১০৭ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন।গত জুলাই মাসের নির্বাচনের পর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ১,৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।মানবাধিকার সংগঠন ফরো পেনাল জানিয়েছে যে,এদের মধ্যে ১০৭ জনকে এখন পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মী ফরো পেনালের আলফ্রেডো রোমেরো জানিয়েছেন, "বর্তমানে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, ভেনেজুয়েলায় নির্বাচনের পরের পরিস্থিতিতে ১০৭ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।" বন্দীদের চারটি আলাদা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে,মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের স্বাগত জানিয়ে উল্লাস করছেন পরিবারের এবং সাধারণ মানুষজন।

 

জুলাই মাসের নির্বাচনে মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই)।সেই নির্বাচনে মাদুরো ৫২% ভোট পেয়েছেন,যেখানে বিরোধী প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেস ৪৩% ভোট পেয়েছেন।তবে বিরোধী পক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে যে গঞ্জালেস উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন।তারা ভোটের বিস্তারিত ফলাফল ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে।

 

সিএনই দাবি করেছে, ভোটের তথ্য হ্যাকিংয়ের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে, যার ফলে তারা ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর মাসে গঞ্জালেসকে স্পেনে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়।

 

ভেনেজুয়েলার এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের উপর গভীর ছায়া ফেলেছে।বন্দীদের মুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আরও সমাধানের প্রয়োজন।তথ্যসূত্র : বিবিসি