ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভ্যান ডার লেয়ন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনে ইরানের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তাই আমি রাশিয়ায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণকে স্বাগত জানাই। এ ধরনে পদক্ষেপ আরও দরকার।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহাও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে ইরানকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন, ‘যারা আগ্রাসন সমর্থন করে, তাদের অবশ্যই সেই সমর্থনের দায়ভার নিতে হবে এবং মূল্য দিতে হবে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই আজ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অস্বীকার করেছে বলেছেন, তেহরান রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে না। তিনি এই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু ইউরোপীয় দেশ ও যুক্তরাজ্য দুর্ভাগ্যবশত প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছে যে ইরান এই সংঘাতে সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।’
গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরান ইউক্রেনে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য-প্রমাণ আছে। এর পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা এল। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সেই সময় অস্বীকার করেছিলেন, আগস্টে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তেহরান রাশিয়ার কাছে কোনো অস্ত্র হস্তান্তর করেনি। তিনি বলেন, ‘এটি সম্ভবত অতীতে সরবরাহ করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, ইইউ সদস্য দেশগুলো—হাঙ্গেরি ছাড়াও—রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে প্রায় ১২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার বা ১৫ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে।
0 Comments