উত্তর কোরিয়া সফরের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তাঁর বাম পাশে কিম জং উন। ছবি: এএফপি
অনলাইন ডেস্ক
উল্লিখিত প্রতিরক্ষা চুক্তির আলোকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত রাশিয়ান সৈন্যদের পাশাপাশি লড়াই করার জন্য ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের গণমাধ্যমগুলো চলতি মাসের অক্টোবরের শুরুতে জানিয়েছিল, কিয়েভের বাহিনী দোনেৎস্কের কাছে রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলে বোমা হামলার পর উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন সৈন্য মারা গেছে।
রোববারের ভাষণে জেলেনস্কি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে কিয়েভকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের আরও গভীরে হামলার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ও এর সহযোগীদের সঙ্গে আমাদের সামর্থ্যকে খাপ খাওয়াতে হলে আমাদের এখনই কাজ করতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যখন আমরা ইউক্রেনকে আমাদের বাহিনীর জন্য বৃহত্তর দূরপাল্লার সক্ষমতা এবং আরও সিদ্ধান্তমূলক সরবরাহ দেওয়ার কথা বলি, তখন এটি কেবল সামরিক সরঞ্জামের তালিকা নয়। সত্যিকারের শান্তি কেবল শক্তির মাধ্যমেই অর্জন করা যায়। আগামী সপ্তাহের পুরোটা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য কিয়েভ নিবেদিত থাকবে এ ধরনের শক্তি লাভের জন্য, সত্যিকারের শান্তির জন্য।’
চলতি সপ্তাহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মঞ্চে ইউক্রেন ও এর মিত্র দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল সোমবার লুক্সেমবার্গে জড়ো হয়েছেন। যেখানে তাঁরা যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কির ‘বিজয় পরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁরা ইউক্রেনের জন্য ইইউ তহবিল অবমুক্ত করারও চেষ্টা করবে, যা হাঙ্গেরি আটকে রেখেছে। বুদাপেস্ট ইইউ, ওয়াশিংটন এবং জি-৭-এর তরফ থেকে ইউক্রেনকে দিতে যাওয়া একটি বড় ঋণের পরিকল্পনাও বাধা দিচ্ছে।
0 Comments