সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

গুরুতর অসুস্থ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, উত্তরাধিকার প্রশ্নে চলছে নীরব লড়াই


অনলাইন ডেস্ক 

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অসুস্থতার সংবাদ এমন একসময়ে প্রকাশিত হলো, যার মাত্র এক দিন আগে ইসরায়েল ইরানের হামলা চালিয়েছে। এর আগে, ইরান চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। 

ইসরায়েলের আক্রমণ শুধু ইরানেই সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়াতেও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। 

মুজতবা খামেনির জন্ম ১৯৬৯ সালে, মাশহাদে। ঠিক সেই সময়টাতে তাঁর বাবা আলী খামেনি ইরানে শাহবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠছিলেন। মুজতবার কৈশোরে শাহের গোপন পুলিশ আলী খামেনিকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করেছিল। একবার শাহের পুলিশ মুজতবার সামনেই তাঁর বাবাকে মারধর করে। 

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর খামেনির পরিবার তেহরানে চলে যায়। সেখানেই হাইস্কুল এবং অন্যান্য পর্যায়ের শিক্ষা শেষ করেন মুজতবা। এর মাঝে ১৯৮১ সালে আলী খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুজতবা খামেনি ১৯৮০–৮৮ সালের ইরাক–ইরান যুদ্ধে সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করেছেন। তিনি যে ব্যাটালিয়নে ছিলেন, সেটির অনেকেই ইরানের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে আছেন। তাঁদেরই একজন হোসেইন তায়েব। যাঁকে ধরা হয় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ভবিষ্যৎ গোয়েন্দাপ্রধান। এ ছাড়া, হোসেইন নেজাত নামে মুজতবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে আছেন। 

বিগত শতকের ৯০–এর দশকের শেষ দিক থেকে মুজতবা খামেনি আলোচনায় আসতে থাকেন। বিশেষ করে চলতি শতকের প্রথম দশকে ২০০৫ ও ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে জেতাতে তিনি নির্বাচনে কারসাজি করেছেন বলে সংস্কারপন্থীদের অভিযোগ।

Post a Comment

0 Comments